বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টাঙ্গাইলে কেবলই আওয়ামী লীগ 

  •    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:৪৬

সদর, সখীপুর, মির্জাপুর, ভূঞাপুর ও মধুপুর পৌরসভার মধ্যে কেবল লড়াই হয়েছে সখীপুরে। বাকি কোথাও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সঙ্গে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে ব্যর্থ হন অন্যরা। অবশ্য একটিতে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট থেকে সরে দাঁড়ায় বিএনপি।

টাঙ্গাইলের পাঁচটি পৌরসভা নির্বাচনের সবগুলোতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা বড় জয় পেয়েছেন। এর মধ্যে একটি ছাড়া অন্যগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়ে তুলতে পারেননি।

টাঙ্গাইল পৌরসভায় এসএম সিরাজুল হক আলমগীরের নৌকায় ভোট পড়েছে ৬৬ হাজার ৬১৭ টি। প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মাহমুদুল হক সানু পেয়েছেন ২২ হাজার ৯০০ ভোট।

সখীপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন সাত হাজার ৮৩৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সানোয়ার হোসেন সজিব জগ প্রতীকে পেয়েছেন সাত হাজার ৫৪৪ ভোট।ভোটের ব্যবধান ২৮৯।

এই পৌরসভায় ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী নাসির উদ্দিন পেয়েছেন ৫১২।

সখীপুরে ২১ হাজার ৬৬৯ ভোটারের মধ্যে ১৭ হাজার ৭০০ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

মির্জাপুরে নৌকা প্রতীকের সালমা আক্তার ১২ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি শফিকুল ইসলাম পেয়েছন দুই হাজার ৯২৪ ভোট।

ভূঞাপুরে টানা তৃতীয় জয়ে হ্যাটট্রিক করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ। তিনি নয় হাজার ৪১৩ ভোট পেয়ে জিতেছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জাহাঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন চার হাজার ৪১৩ ভোট। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়া আব্দুস সাত্তারের জগ প্রতীকে ভোট পড়েছে তিন হাজার ৭০১ ভোট।

৯টি ওয়ার্ডে ১০টি কেন্দ্রে ২১ হাজার ৭২৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ১৭ হাজার ৬৯০ জন।

মধুপুর পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা নিয়ে লড়া সিদ্দিক হোসেন খান। তিনি ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯৯২টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল লতিফ পান্না ধানের শীষ নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ৬৫১ ভোট।

তবে ভোট চলাকালে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন লতিফ। তার অভিযোগ ছিল, দামপাড়া ও মধুপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্র বাদে বাকি ১৫ টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্টরা ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল দেন। কোথাও কোথাও তাদের সামনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করেন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী এখানে ৪১ হাজার ৬০০ জন ভোটারের মধ্যে ২৭ হজার ৬৪৩ জন ভোটার ভোট দেন। শতকরা ভোট পড়েছে ৬৭ ভাগ।

এ বিভাগের আরো খবর